এই কাগজটি CC BY-NC-ND 4.0 DEED লাইসেন্সের অধীনে arxiv-এ উপলব্ধ।
লেখক:
(1) বৃশা জৈন, স্বাধীন গবেষক ভারত এবং [email protected];
(2) মাইনাক মন্ডল, আইআইটি খড়গপুর ভারত এবং [email protected]।
ভারত ও উপমহাদেশে নারীবিদ্বেষ একটি জটিল সামাজিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। অবচেতন লিঙ্গ পক্ষপাত জীবনের অনেক ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন পেশায় নিজেকে প্রকাশ করে। এই গবেষণাটি এনএলপি-ভিত্তিক আবেগ বিশ্লেষণ এবং এলডিএ বিষয়ের মডেলিং ব্যবহার করে ভারতে টুইটারে মহিলা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে লিঙ্গ পক্ষপাত উন্মোচন করতে চায় - বিশেষ করে সাংবাদিকদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াতে, যারা টুইটারে রাজনৈতিক আলোচনার প্রধান চালক এবং রাজনীতিবিদ।
আমাদের অনুসন্ধানগুলি একটি বিরক্তিকর প্রবণতা প্রকাশ করে: যদিও জনপ্রিয় সাংবাদিকরা নিজেরাই লিঙ্গ পক্ষপাতের শিকার বলে মনে হয় না, গড়ে, টুইটার ব্যবহারকারীরা মহিলা রাজনীতিবিদদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করে৷ এই পক্ষপাত বৃহত্তর সামাজিক সমস্যার প্রতিফলন যেখানে পুরুষ রাজনীতিবিদরা ঐতিহ্যগতভাবে রাজনীতিতে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত। এই পদ্ধতিগত পক্ষপাত টুইটারে অনুবাদ করছে, এবং শুধুমাত্র ভারসাম্যপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা পরিস্থিতি সংশোধন করার জন্য যথেষ্ট নয়।
এই পক্ষপাতকে প্রতিহত করার জন্য, আমরা সুপারিশকারী সিস্টেমগুলিকে মহিলা রাজনীতিবিদদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করার পরামর্শ দিই, কারণ শুধুমাত্র ভারসাম্যপূর্ণ ভাষাই যথেষ্ট নয়। উপরন্তু, আমাদের বিশ্লেষণ প্রকাশ করে যে ব্যবহারকারীরা নারী রাজনীতিবিদদের মূল্যায়ন করার সময় পুরুষ সাংবাদিকদের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় বিভিন্ন কণ্ঠস্বরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
সংক্ষেপে, এই অধ্যয়নটি শুধুমাত্র ভাষা নয়, প্লাটফর্ম ডিজাইন এবং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে টুইটারে লিঙ্গ পক্ষপাতের সমাধান করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সামাজিক পক্ষপাতিত্ব সত্ত্বেও মহিলা পাবলিক ফিগাররা কার্যকরভাবে তাদের মতামত প্রচার করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল স্থান তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।